ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, আরবি ভাষা শিখার মাধ্যমে আমরা বিভিন্নভাবে অবদান রাখতে পারি। মানবসম্পদ তৈরিতে কীভাবে আরবি ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তা দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, পেশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বায়ারেদর সঙ্গে যোাগাযোগ করতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হয়। তেমনি মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের শ্রমবাজারে আরবি ভাষাকে কাজে লাগাতে পারি। আজকে আমাদের দাবি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বস্তরে আরবি ভাষা চালু করতে হবে। ভাষার দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, নৈতিক ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং আরবি ভাষা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইইআর) এবং বাংলাদেশ কুরআন প্রচার ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অন্তত লাখ কোটি সার্টিফিকেটধারী লোক সৃষ্টি করেছে। সেই সার্টিফিকেটধারী লোকেরা বিদেশে হয়তো গিয়েছে বা যায়নি। যদি না যায়, তাহলে কেন যায়নি। অর্থাৎ আমাদের এখানে বড় একটা শুভংকরের ফাঁকি বা অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা কাজ করেছে বলেই আজকে রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে এই দুর্গতি। অথচ এরাই আমাদের মানবসম্পদ।’
সেমিনারে বাংলাদেশ কুরআন প্রচার ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার তামজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসান এম সাদেক, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া।
সেমিনারটি উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (আইআইইআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান,, সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ দূতাবাস সৌদি আরবের অতিরিক্ত সচিব (অব.) ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।